পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি বলেছে, আইন ও বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা রেখে কেউ যেন উসকানিতে পা দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে না নেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, গত ৪ আগস্ট নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পালের নিকৃষ্ট ও ধৃষ্ট আচরণের মাধ্যমে পবিত্র কোরআনুল কারিম অবমাননার জঘন্য ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানসহ শান্তিকামী মানুষ গভীরভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ।
তিনি বলেন, কোরআন মাজিদ আল্লাহর বাণী, মানবজাতির জন্য সর্বশেষ ও পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। এর অবমাননা শুধু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত নয়, বরং আল্লাহর প্রতি বিদ্রোহ ও ইসলাম ধর্মের ওপর সরাসরি আক্রমণ।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি, সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধে বিশ্বাসী। সম্প্রতি শারদীয় দুর্গোৎসবও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রমাণ। অথচ এই সময় কোরআন অবমাননার মতো ঘৃণ্য কাজ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্টের নেপথ্য ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিতে পারে। বিষয়টি রাষ্ট্রীয়ভাবে গভীরভাবে তদন্ত করা জরুরি।
তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে বলেন, ঘটনার পর তাদের উচিত ছিল দ্রুত ও কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন দুঃসাহস না দেখায়।
বিবৃতিতে তিনি সতর্ক করে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ‘মানসিক রোগী’ হিসেবে প্রমাণের মাধ্যমে অপরাধকে আড়াল করার চেষ্টা করা হলে তা হবে ন্যায়বিচারের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং অপরাধের প্রশ্রয় দেওয়া।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, কোরআন অবমাননার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন সাহস না পায়। সেই সঙ্গে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, আইনের প্রতি আস্থা রাখুন, শান্তিপূর্ণ ও আইনানুগ উপায়ে প্রতিবাদ জানান। কেউ যেন উসকানিতে পা না দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে না নেন।
প্রযুক্তি সহায়তায়: Star Web Host It