1. news@gmail.com : news :

ট্রাম্প প্রশাসনের ‘আক্রমণাত্মক সাইবার হামলা’ পরিকল্পনাকে ঘিরে বিতর্ক

  • প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ‘আক্রমণাত্মক সাইবার অভিযান’ নামে একটি কর্মসূচির জন্য ১ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা করেছিল। এই ব্যয় প্রস্তাবনা ট্রাম্পের তথাকথিত ‘দ্য বিগ বিউটিফুল বিল’-এর অংশ ছিল। টেকক্রাঞ্চ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটি দাবি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই আইনটির আওতায় নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি যে কোন ধরনের সাইবার সরঞ্জাম বা সফ্টওয়্যার এই বাজেটের আওতায় পড়বে। তবে নিশ্চিত করা হয়েছে যে অর্থ বরাদ্দ মূলত মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হবে। উক্ত কমান্ডটি এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দায়িত্বে রয়েছে, যার মধ্যে চীনও অন্তর্ভুক্ত, বর্তমানে যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।

ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর এবং সিনেট গোয়েন্দা কমিটির দীর্ঘদিনের সদস্য রন ওয়াইডেন এই পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। টেকক্রাঞ্চকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, একদিকে ট্রাম্প প্রশাসন মার্কিন সাইবার প্রতিরক্ষা কর্মসূচির বাজেট কমিয়েছে, যার ফলে সাইবার নিরাপত্তা সংস্থার ১৩০ জন কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। অন্যদিকে সরকারি হ্যাকিং সম্প্রসারণের জন্য বিপুল অর্থ বরাদ্দ করেছে।

ওয়াইডেনের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘ট্রাম্প প্রশাসন সাইবার নিরাপত্তা ও সরকারি প্রযুক্তি খাতে বাজেট কমিয়েছে, যার ফলে দেশটি বিদেশী হ্যাকারদের আক্রমণের ঝুঁকিতে পড়েছে। এখন যদি যুক্তরাষ্ট্র নিজেই বড় আকারে সাইবার আক্রমণ শুরু করে, তবে এর জবাবে আমাদের হাসপাতাল, স্থানীয় সরকার বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও পাল্টা হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারে, যারা আত্মরক্ষার পর্যাপ্ত সামর্থ্য রাখে না।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আক্রমণাত্মক সাইবার অভিযানের আওতায় থাকতে পারে শূন্য-দিনের দুর্বলতার অপব্যবহার, ম্যালওয়্যার হামলা এবং এসব আক্রমণ বাস্তবায়নের জন্য অবকাঠামো নির্মাণ বা উন্নয়ন।

হোয়াইট হাউস বা প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্রদের কাছ থেকে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে টেকক্রাঞ্চ।

সূত্র : আল জাজিরা

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর


প্রযুক্তি সহায়তায়: Star Web Host It