ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির প্রভাবশালী নেতা মাহবুবউল আলম হানিফ ও তার ব্যক্তিগত সহকারী জেলা আওয়ামী লীগের দাপুটে নেতা আমজাদ হোসেন রাজু পালিয়ে গেলেও তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে আগের মতোই। হানিফের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আমজাদ হোসেন রাজুর মালিকানাধীন সম্পদের দেখভালের দায়িত্ব পালন করছেন তার আপন ভায়রা জনতা ব্যাংক কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান চঞ্চল।
ভায়রার প্রভাব খাটিয়ে জনতা ব্যাংকের আঞ্চলিক শাখার কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান চঞ্চল নিজেও ঠিকাদারি কাজ করে আওয়ামী শাসনামলের বিগত প্রায় ১৬ বছরে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও ঢাকায় গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। দুই ভায়রা মিলে করেছেন টেন্ডারবাজি। ব্যাংকে চাকরি করেও ঠিকাদারি ও রাজনীতি নিয়ে পড়ে থাকতেন সব সময়। জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা হয়েও এখন তিনি অঢেল সম্পদের মালিক।
পট পরিবর্তনের পর বিএনপির কয়েকজন নেতার সঙ্গে তার দহরম বেড়েছে। সম্প্রতি জেলা বিএনপির সাবেক এক নেতার জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও গিফট নিয়ে হাজির হন তিনি। পাশাপাশি ব্যাংকের এক নারী এজিএম ও তার স্বামী বিএনপি নেতা কলেজ শিক্ষককে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। ওই নারীর স্বামীকে ব্যবসায়িক অংশীদার করেছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে এই ব্যাংক কর্মকর্তা অফিস না করেই যেমন মাসের পর মাস বেতন তুলেছেন। তেমনি কুষ্টিয়াসহ কয়েকটি জেলায় সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ব্যাংকে চাকরি করায় অন্যের লাইসেন্সে বাগিয়ে নেন কোটি কোটি টাকার কাজ। সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করেন হানিফ ও ভায়রা রাজুকে।
ব্যাংক কর্মকর্তার বাইরে তার আরেক পরিচয় তিনি হানিফের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আমজাদ হোসেন রাজুর স্ত্রীর বোনের স্বামী। সম্পর্কে ভায়রা। এ পরিচয়ে তিনি বিগত এক দশক দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। পট পরিবর্তনের পর প্রথম দিকে কিছুটা চাপে থাকলেও চঞ্চল এখন আবার ঠিকাদারি কাজে পুরোদস্তুর সময় দিচ্ছেন। গণপূর্ত, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজ, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ভবন ছাড়াও মেহেরপুর জেলার গাংনীতে শিশু পার্ক, ব্রিজসহ অন্যান্য কাজ চলমান এই কর্মকর্তার। এসব কাজের বেশির ভাগই গত আওয়ামী লীগ সকারের সময় টেন্ডার হয়। রাজুর মাধ্যমে তিনি এসব কাজ বাগিয়ে নেন।
প্রযুক্তি সহায়তায়: Star Web Host It