1. news@gmail.com : news :

যমুনা লাইফের এমডি নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র

  • প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫

ড. বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডল যমুনা লাইফে সিইও সংযুক্ত হবার পর তিনি যখন দুর্নীতিবাজ এবং যারা অনিয়ম করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন তখন থেকেই ষড়যন্ত্রকারীদের রোষানলে পড়েন। যমুনা লাইফের উন্নয়নে সকল ভালো কাজে তারা বাঁধা দিয়ে কিছু করতে না পারায় এখন এমডি ড. বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধেই নানা ষড়যন্ত্র করছে ঐ চক্রটি।

এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সিও ড. বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডলকে নিয়ে কিছু ভুল ব্যখা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে দুঃখ প্রকাশ করেছে গণমাধ্যম।

সংবাদ দৃষ্টিগোচর হবার পর ড. বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডল তার প্রতিবাদও দিয়েছেন যা নিম্নরূপ

২৭ জুলাই ২০২৫ তারিখ রবিবার অপরাহ্ন ৪.৩৮ ঘটিকায় “যমুনা লাইফে সিইও নিয়োগে আর কোন বাধা নেই” মর্মে প্রকাশিত সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে সংবাদে মহামান্য হাইকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত সম্পর্কিত কিছু তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে প্রচার করা হয়েছে।

অনলাইন পোর্টালের সংবাদে যমুনা লাইফে সিইও নিয়োগ বন্ধ করতে কোম্পানির চেয়ারম্যান বরাবর আমি একটি আবেদন করেছি মর্মে আপনি প্রকাশ করেছেন। আপনি সংবাদে আরো লিখেছেন যে, সেই আবেদনের ভিত্তিতে রবিবার ২৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে সিপি ১৯৭১/২০২৫ আইটেম নং- ৩৫ শুনানির জন্য নির্ধারিত ছিল। পরবর্তীতে মহামান্য চেম্বার কোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব বিশ্বজিৎ মন্ডলের আবেদন “না-মঞ্জুর” (out of list) করেন। অর্থাৎ চেম্বার কোর্টে পূর্বে আদেশই বহাল থাকলো মর্মে আপনার প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

বিগত ৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখের বীমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের পত্র নং ৫৩.০৩.০০০০,০০০,০৩২.১১.০০০২.২৩.৭১ তাং ৬.৪.২০২৫ মারফত বীমা কোম্পানির (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ) প্রবিধানমালা ২০১২ এর ৭(৬) ধারা মোতাবেক আমাকে যমুনা লাইফে মুখ্য নির্বাহী হিসাবে নিযোগের আবেদন আইডিআরএ কর্তৃক না-মঞ্জুর করা হয়, হাইকোর্টে একটি রীট মামলা যার নম্বর ১২২০৪/২৩ চলমান থাকার বরাত দিয়ে।

পরবর্তীতে ২৪ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে বিগত ৬ এপ্রিলের উল্লেখিত একই স্মারকে (পত্র নং ৫৩.০৩,০০০০,০০০,০৩২.১১.০০০২.২৩.৭১ তাং ৬.৪.২০২৫) মারফত উল্লেখিত ৭ (৬) ধারা বাদ দিয়ে পুনরায় রীট মামলা নম্বর ১২২০৪/২৩ চলমান থাকার কারণে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আমার আবেদন “না-মঞ্জুর” করে আরেকটি চিঠি পাঠায়।

আমি উক্ত চিঠি দুটির কার্যকারিতা স্থগিতের জন্য মহামান্য হাইকোর্টে একটি রীট মামলা দায়ের করি যার নম্বর ৬৬৫৭/২০২৫। মামলাটিতে মহামান্য হাইকোর্ট বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এর উক্ত পত্র দুটির কার্যকারিতা দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন এবং এ বিষয়ে একটি রুল জারি করেন। আমার অনুকূলে এই অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আপিল বিভাগের মহামান্য চেম্বার আদালতে CPLA-1971/25 দায়ের করেন। শুনানির পর মহামান্য চেম্বার আদালত আমার অনুকূলের মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিত আদেশটি ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন এবং কোর্ট খোলার পর ৮ (আট) সপ্তাহের মধ্যে রিট মামলা দুইটি (পূর্বের ১২২০৪/২৩ এবং ৬৬৫৭/২৫) নিষ্পত্তির জন্য ক্ষমতা প্রাপ্ত হাইকোর্টের যেকোনো বেঞ্চে নিষ্পত্তি করার জন্য আদেশ দেন।

চেম্বার আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক আমি আমার আইনজীবীর মাধ্যমে মামলা দুইটি (১২২০৪/২৩ ও ৬৬৫৭/২৫) হাইকোর্ট বিভাগের মহামান্য বিচারপতি জনাব আকরাম হোসেন চৌধুরী ও মহামান্য বিচারপতি জনাব ফয়েজ আহমেদ মহোদয়গণের লর্ডশিপে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করি। উভয় রীট আবেদন ১.৭. ২০২৫ তারিখের কার্য তালিকাভুক্ত হয় এবং মামলা দুইটি ঐ দিন থেকেই শুনানির জন্য কার্যতালিকায় অপেক্ষমান।

ইতিমধ্যে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ থেকে যমুনা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড কে ০৩.০৭.২০২৫ তারিখে পত্র দিয়ে “মহামান্য চেম্বার আদালতের দেয়া রায়ের আলোকে” যমুনা লাইফের জন্য মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের নিমিত্তে পত্র দেয়া হয়েছে। এপ্রেক্ষিতে আমার আইনজীবী যমুনা লাইফের মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর রীট মামলা দুটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যমুনা লাইফে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ না করার জন্য আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে পত্র প্রেরণ করে অনুরোধ জানিয়েছেন।

আমার আইনজীবী ব্যাখ্যায় বলেছেন, মহামান্য চেম্বার আদালত ২৭.০৫.২০২৫ তারিখে একটি অন্তর্বর্তী কালীন আদেশ দিয়ে মহামান্য হাইকোর্টের দেয়া আদেশটি ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন এবং ১২২০৪/২৩ এবং ৬৬৫৭/২৫ রীট মামলা দুটি হাইকোর্টের ক্ষমতাপ্রাপ্ত যেকোনো বেঞ্চে “মেরিট বেসিসে” নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। যেহেতু এই “অন্তর্বর্তী কালীন” আদেশটি কোন রায় (judgement) নয় এবং মহামান্য হাইকোর্টে মামলাটি শুনানির অপেক্ষায় অর্থাৎ বিচারাধীন আছে, সেহেতু কোম্পানিতে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দিলে তা হবে আইনের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন।

তখাপিও রুলটি নিষ্পত্তির জন্য মহামান্য হাইকোর্টে শুনানির অপেক্ষায় থাকাকালীন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ০৩.০৭.২০২৫ তারিখে যমুনা লাইফ ইন্সিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেডকে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য জানিয়ে পত্র দিয়েছে যেহেতু আমি মহামান্য চেম্বার আদালতে আমার আইনজীবীর মাধ্যমে একটি আবেদন দাখিল করেছি এবং রীট মামলা দুইটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মুখ্য নির্বাহী নিয়োগের আইনগত বিষয়ে একটি আদেশ চেয়েছি। বিগত ২৭.৭.২৫ তারিখে মহামান্য চেম্বার বিচারপতি মিসেস ফারাহ মাহবুব এর বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য উঠলে তিনি বিষয়টি শুনে আবেদন খানা মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে দাখিল করার জন্য আমার আইনজীবীকে পরামর্শ দেন এবং আবেদন থানা আউট অফ লিস্ট (out of list) করে দেন। উল্লেখ্য যে, আবেদন শুনানিকালে চেম্বার আদালতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সম্মানিত আইনজীবীও উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশিত নিউজটি সংক্ষিপ্ত ছিল, বিস্তারিত তথ্য সহ প্রতিবাদ জানানোর জন্য ড. বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডল কে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি যে বিস্তারিত তথ্য সহ ২৭/০৭/২০২৫ তারিখে নিউজটি প্রকাশ করা হয়নি। ড.বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডল এর পাঠান বিস্তারিত তথ্য সহ প্রতিবাদ প্রকাশ করা হলো।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর


প্রযুক্তি সহায়তায়: Star Web Host It