১৪ বছর পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মগবাজারস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসলেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম। আজ ১০ টা ৫২ মিনিটে তিনি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। এর আগে সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) থেকে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে তিনি ছাড়া পান। এর পর শাহবাহ মোড়ে আয়োজিত শোকরানা সমাবেশে তিনি অংশ গ্রহন করেন।
এটিএম আজহার কেরানীগঞ্জ কারাগারের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজহারুল ইসলামের খালাসের রায়ের সংক্ষিপ্ত আদেশে তাকে অবিলম্বে জেল হেফাজত থেকে মুক্তি দিতে বলা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির সাক্ষরের পর তিন পাতার সংক্ষিপ্ত আদেশ গতকালই প্রকাশিত হয়েছে। যে আদেশে বলা হয়েছে যে, অন্য কোনো মামলা বা আইনি কার্যক্রমের কারণে আটক রাখার প্রয়োজন না হলে, তাকে অবিলম্বে জেল হেফাজত থেকে মুক্তি দিতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে রায়ের কপি ট্রাইব্যুনালে পৌছেছে বলে নিশ্চিত করেছে প্রসিকিউশন। ট্রাইব্যুনাল থেকে মুক্তির পরোয়ানা কারাগারে পৌছঁলে কাল সকালে তাকে মুক্তি দেয়া হবে।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল মঞ্জুর করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের রায় বাতিল করে গতকাল সকালে রায় ঘোষণা করেন। ফলে মৃত্যুদন্ড থেকে খালাস পান এ টি এম আজহারুল ইসলাম। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদ- থেকে কোনো আসামি আপিল বিভাগের রায়ে এই প্রথম খালাস পেলেন।
প্রযুক্তি সহায়তায়: Star Web Host It