ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদকে নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের বক্তব্যকে ভুল, অপব্যাখ্যা ও মিথ্যা বক্তব্য দাবি করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ ও সেক্রেটারি মহিউদ্দিন খাঁন।
সোমবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাবি শিবিরের প্রচার সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খানের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়- ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির সোমবার তাদের এক কর্মসূচিতে বক্তব্য প্রদানকালে বলেছেন ‘একজন ধর্ষক বা নারী নিপীড়নকারীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছিল ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি। তার এই বক্তব্য সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার।
দেশব্যাপী ছাত্রকল্যাণমূলক কাজের জন্য শিক্ষার্থী সমাজের কাছে ছাত্রশিবিরের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছেন।
শাহবাগ থানার ঘটনা সম্পর্কে বিবৃতিতে বলা হয়- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মূলত ঘটনার সময়ে শাহবাগ থানা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের আহ্বানে শাহবাগ থানায় সৃষ্ট পরিস্থিতি শান্ত করতে এবং সেখানে অবস্থানরত ‘সংক্ষুব্ধ জনতা’র দাবি ও অবস্থান জানার জন্য শাহবাগ থানায় গিয়েছিল। তিনি সেখানে কাউকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে তদবির করেননি। বরং তিনি সেখানে উপস্থিত মবকে ‘অভিযুক্ত অর্ণবকে কোর্টে তোলা যাবে না, এখানেই মুক্তি দিতে হবে’ এই দাবি থেকে সরিয়ে এনে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে বোঝাতে সক্ষম হন। ছাত্রদল কর্তৃক এহেন মিথ্যাচার প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ মনসুর বলেন, সেদিন রাতে ওই আসামিকে ছাড়াতে তৌহিদি জনতার একটি গ্রুপ থানা ঘেরাও করেছিল। তখন আমি বিপজ্জনক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ও তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ, ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহিসহ আরো সাংবাদিক ও কয়েকজন ছাত্র নেতৃবৃন্দকে ফোন দেই। এখানে এস এম ফরহাদ কাউকে ছাড়াতে কোনো তদবির করেননি। তৌহিদী জনতা এসেছিল আসামিকে ছাড়াই নেওয়ার জন্য।
আমরা আসামিকে ছাড়িনি বরং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাকে কোর্টে চালান করেছি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: Star Web Host It